আপনি জানেন কি স্ট্রোক কখন হয়? স্ট্রোক তখনই হয় যখন মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে — হয় রক্তনালী ব্লক হয়ে যায় (ischemic stroke), নয়তো রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় (hemorrhagic stroke)। নিচে স্ট্রোকের সাধারণ কারণগুলো দেওয়া হলো:
🧠 স্ট্রোক হওয়ার প্রধান কারণসমূহ:
১. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension):
-
এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ।
-
দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালী দুর্বল করে তোলে এবং তা ফেটে যেতে পারে।
২. ডায়াবেটিস (Diabetes):
-
ডায়াবেটিস রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. হৃদরোগ (Heart Disease):
-
যেমন: atrial fibrillation, হৃদপিণ্ডের ছন্দপতন ইত্যাদি।
-
এগুলো থেকে রক্তে জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে পৌঁছে স্ট্রোক হতে পারে।
৪. ধূমপান ও তামাক ব্যবহার:
-
রক্তনালী সংকুচিত করে এবং রক্তে জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ায়।
৫. উচ্চ কোলেস্টেরল:
-
রক্তনালীর মধ্যে ফ্যাট জমে গিয়ে (atherosclerosis) রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়।
৬. স্থূলতা ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা:
-
অতিরিক্ত ওজন ও ব্যায়ামের অভাব রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. অতিরিক্ত মদ্যপান:
-
মস্তিষ্কের রক্তনালীতে ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তচাপ বাড়ায়।
৮. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ:
-
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়িয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
⚠️ অন্যান্য ঝুঁকি কারণ:
-
বয়স (৬০ বছরের উপরে ঝুঁকি বেশি)
-
পারিবারিক ইতিহাসে স্ট্রোক
-
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি (oral contraceptives) — বিশেষ করে ধূমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে
-
ঘুমে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া রোগ (Sleep Apnea)
🛡️ স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন:
🔹 প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন
🔹 রক্তচাপ, রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করুন
🔹 ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
🔹 স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
🔹 মানসিক চাপ কমান এবং পর্যাপ্ত ঘুমান
🔹 অতিরিক্ত লবণ ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন -
⚠️ স্ট্রোকের লক্ষণ চিনুন – সময় বাঁচায় জীবন:
🟠 হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া
🟠 এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া
🟠 অস্পষ্ট কথা বলা বা বুঝতে অসুবিধা
🟠 চোখে ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তি হারানো
🟠 ভারসাম্য হারানো বা মাথা ঘোরা
🕐 এমন লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে যান!
🧡 আজই সচেতন হোন — আপনার পরিবার ও নিজের জন্য!
2 Comments